সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ভাইবার পূর্ব প্রস্তুতি, Primary Viva Preparation 2022
প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক ভাইবা বা মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতিঃ
প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা ১ম, ২য় ও ৩য় ধাপের পরীক্ষা শেষ হলো। ১ম ধাপের পরীক্ষা ২২ এপ্রিল, ২য় ধাপের ২০ মে এবং ৩য় ধাপের ৩ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১ম ধাপের রেজাল্ট প্রকাশ করা হলো এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২৩ মে নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগে প্রাইমারি ভাইবার পূর্ব প্রস্তুতি
প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইবা অন্য চাকরির ভাইবা থেকে অনেক বেশি সোজা হয়। কারণ এখানে নিজের নামের অর্থ,নিজের নামের সাথে মিল রেখে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির নাম জানতে চাওয়া হয়, জেলা ও উপজেলা পরিচিতি ও ইতিহাস জানতে চাওয়া হয়। যদি না পারেন তাহলে সোজা কথায় বলবেন সরি স্যার পারি না। কারণ অনেকে আছে ভাইবা বোর্ড ঘাবড়ে যান। জানা প্রশ্নের উত্তর ও বলতে পারেন না। তাই সবার উচিত ভাইবা বোর্ড অতিরিক্ত প্রেশার না নেওয়া।
ভাইবা বোর্ডে যাঁরা থাকেন
সাধারণত ডিসির নেতৃত্বে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলার সরকারি কলেজের অধ্যাপক বা,সহযোগী অধ্যাপক নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট ভাইবা বোর্ড গঠিত হয়।
ভাইবাতে ছেলেদের ড্রেস
শার্ট: সাদা ফুল শার্ট। সাদা উপর যে কোন স্ট্রাইপ কাজ করবে। অন্য রঙের ম্যাচিং শার্টও পরতে পারেন। আপনার পকেটে একটি কলম রাখুন।যাতে কিছু লেখার প্রয়োজন হলে লিখতে পারেন।
প্যান্ট: কালো ফরমাল প্যান্ট পরুন।
ঘড়ি, বেল্ট এবং জুতা: আনুষ্ঠানিক চামড়ার ঘড়ি, জুতা এবং প্যান্টের সাথে মেলে একটি কালো চামড়ার বেল্ট পরুন। রাবার সোলের সাথে কালো, ফরমাল সোল পরুন। টাই পরার দরকার নেই। যারা পাঞ্জাবি পায়জামা পরতে চান তারা সাদা পরতে পারেন। ভাইবার পাঁচ-ছয়দিন আগে চুল কেটে ফেলে। ভাইভার এক বা দুই দিন আগে নখ ছেঁটে নিন। ভাইভার আগের দিন বা ভাইভা দিবসে সকালে শেভ করুন।
✅মেয়েদের পোশাক;
পরতে পারেন মার্জিত রঙের শাড়ি। তবে খেয়াল রাখবেন শাড়িতে যেন খুব বেশি কারুকাজ না হয়। চাইলে সালোয়ার-কামিজও পরতে পারেন। যাইহোক, এটি মার্জিত রং এবং ডিজাইন হতে হবে। অন্য কথায়, আপনি শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ যাই পরুন না কেন, এটি একটি ম্যাচ। সাধারণ আকারের কানের দুল এবং চেইন পরতে পারেন। আপনার চুল বিনুনি রাখুন. শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে জুতা মেলালে ভালো হয়। তবে হাই হিল না পরাই ভালো। হালকা মেকআপ এবং মার্জিত রঙের হালকা লিপস্টিক দিতে পারেন। কালো কালি দিয়ে কলম রাখুন।
ভাইবার মানবন্টন
ভাইবার ২০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষার পরীক্ষায় ছিল ৮০ নম্বর। ভাইবায় পাস করলে আপনি ১০০ নম্বরের মধ্যে কত পেলেন তা অনুসারে ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।
🔰ভাইবাতে নিজেকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন জন্য ৫ নম্বর।
🔰 একাডেমিক ফলাফলের উপর ৫ নম্বর।
🔰আপনাকে যে প্রশ্ন করা হবে সেখানে থাকবে ৫ নম্বর।
🔰সহশিক্ষা কার্যক্রমে( নাচ,গান,কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি) ৫ নম্বর।
যে যে কাগজপত্র জমা দিতে হবেঃ
🔴আবেদনপত্রে আপলোডকৃত ছবি।
🔴আপনি যে আবেদন করেছেন তার কপি।
🔴প্রবেশপত্রের ফটোকপি
🔴চারিত্রিক সনদ ও নাগরিকত্ব সনদ।
🔴NID ফটোকপি।
🔴শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
ভাইবার জন্য যা যা পড়বেন
ভাইবার জন্য আমরা নিচে ৭৭ টি প্রশ্ন দিবো এগুলো থেকে প্রশ্ন আসবে।এর বাইরে ইনশাআল্লাহ প্রশ্ন হবে না। তবে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, সাম্প্রতিক সব খবর, নিজের পরিচিতি, নিজের জেলা ও উপজেলার পরিচিতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ভাইবা পরীক্ষার দিন করণীয়
১) ভাইবা শুরু হওয়ার ১ ঘন্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া।
২)যেসব কাগজপত্র লাগবে সব কাগজপত্র গুছিয়ে একটা ফাইলে রাখবেন।
৩) পরিপাটি হয়ে বোর্ডে উপস্থিত হবেন।
৪)ভাইবা বোর্ড ঢুকে সবাইকে সালাম দেওয়া।
৫) কোনো প্রশ্ন না জানলে,না প্যাঁচিয়ে বলে দেওয়া আমি পারি না স্যার।
ভাইবা বোর্ডে করণীয়
🔴ভাইবা বোর্ডে ঢুকার সময় সালাম দিয়ে ঢুকবেন।তারপর চেয়ারে সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন,তারা না বলা পর্যন্ত বসবেন না।বসতে বলবে ধন্যবাদ জানিয়ে বসবেন।
🔴 তাঁদের সাথে সুন্দর করে কথা বলুন।
🔴অল্প কথায় উত্তর দিবেন, বেশি কথা বলে নিজে আটকে যেতে পারেন।
🔴যিনি প্রশ্ন করবেন তাঁর দিকে তাঁকিয়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
🔴যেতে বললে আস্তে করে উঠে সালাম দিয়ে আসবেন।
ভাইবা বোর্ড যা যা বর্জন করবেন
🔴 ভাইবা বোর্ড ঢুকতে সালাম দিতে ভূল করবেন না, চেয়ারে বসার সময় আওয়াজ করবেন না।
🔴মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখুন।
🔴 বেশি কথা বলবেন না।
🔴তাঁদের সাথে তর্ক করবেন না,বেয়াদবি করবেন না।
🔴নাচ,গান,আবৃত্তি, অভিনয় না পারলে বলবেন সরি স্যার পারবো না।
কোন মন্তব্য নেই